ইলেকট্রিক বাই সাইকেল

pic e bike/ইলেকট্রিক বাই সাইকেল
pic e bike/ইলেকট্রিক বাই সাইকেল
প্রযুক্তিগত দিক থেকে দুনিয়া খুবই দ্রুতগতিতে আগাচ্ছে, সাথে সংযোজন করছে নতুন নতুন প্রযুক্তি।অনেক ক্ষেত্রেই জীবনযাপন হয়ে উঠছে আরো সহজ এবং সাশ্রয়ী।আমাদের চলার পথকে আরো সুন্দর, মসৃণ এবং সাশ্রয়ী করে তোলা এমনই একটি প্রযুক্তি হলো ইলেকট্রিক বাই সাইকেল।

ইলেকট্রিক বাই সাইকেল কীভাবে কাজ করে :

মুলত ব্যাটারিতে বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চয় করে তা কন্ট্রোল মডিউল এর মাধ্যমে মোটর ঘুরিয়ে

চাকায় শক্তি সঞ্চার এর মাধ্যমে এই বাইসাইকেল রাস্তায় চলে।ইলেকট্রিক বাই সাইকেল,ই-বাইসাইকেল বা ব্যাটারি চালিত সাইকেল যে ভাবেই বলাহোক না কেন বর্তমানে এই প্রযুক্তি খুবি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

ই-বাইকগুলো রিচার্জেবল ব্যাটারি ব্যবহার করায় ২৫ থেকে ৪৫ কিমি / ঘন্টা গতিতে চালানো যায়।ব্যাটারি চালিত বাইসাইকেল হলেও এই সাইকেলগুলোতে অনেক ধরনের সেন্সর সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।ফলে পেডেল করে চালানোর ক্ষেত্রেও সেন্সর মোটরে প্রয়োজন মতো শক্তি সঞ্চার করে।এতে করে পাওয়া যায় বাড়তি সুবিধা।এটকে বলা হয় পেডেল এসিস্ট ( pedal assist) প্রযুক্তি।প্রযুক্তিটি বয়স্কদের ক্ষেত্রে খুবি কাজে দেয়।সুইজারল্যান্ডের বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ফিটনেস ভালো রাখতে সাধারণ বাইসাইকেল এর চেয়ে ইলেকট্রিক বাইসাইকেল কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরো বেশি ভুমিকা রাখে।মোটর এবং পেডেলিং দুইভাবেই চালানো যায় বিধায় মানষিক স্বাস্থ্যও প্রফুল্ল থাকে।এছাড়া খরচ এর দিক থেকে চিন্তা করলে এই বাই সাইকেলগুলো খুবি সাশ্রয়ী।পেট্রোল চালিত বাইকে আপনি সমপরিমান খরচে যে পথ অতিক্রম করবেন ই বাইকে তার থেকে অনেক বেশি পথ অতিক্রম করতে পারবেন।
ই বাইকগুলো বাইক ভেদে এক বার চার্জ দিয়েই চালানো ২৫কিমি থেকে ৮০কিমি পর্যন্ত।ফুল চার্জ হতে বাইকগুলো সাধারণত দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় নেয়।গড় হিসেব করলে আপনি সাত থেকে আঁট টাকা খরচ করে ৪৫কিমি পথ অতিক্রম করতে পারবেন।কোন ধরনের কার্বন বা বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন করেনা বলে এই বাইকগুলো শতভাগ পরিবেশবান্ধব।এই বাই সাইকেলগুলো ক্রয় এবং চালনার ক্ষেত্রে কোন রেজিষ্ট্রেশন এবং লাইসেন্স এর দরকার পড়েনা।ফলে এই দিক থেকেও পাওয়াযাচ্ছে বাড়তি সুবিধা।গিয়ার এবং ক্লাচ এর বাড়তি ঝামেলা না থাকায় এই বাইকগুলো ব্যাবহার করা খুবি সহজ।বাইকগুলোর গতি খুব কমও না আবার বিপদ সীমার বেশিওনা।ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কম থাকে বা দুর্ঘটনার ঘটলেও ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে।

ইলেকট্রিক বাই সাইকেল এর দাম :

ইলেকট্রিক বাই সাইকেল এর দাম ব্র্যান্ড,সুযোগ-সুবিধা,মান ইত্যাদির উপর নির্ভর করে।আমাদের দেশে কম মুল্যের ভেতর চায়না হতে আমদানি করা অনেক কোম্পানির ইলেকট্রিক বাই সাইকেল পাওয়া যায়।আমাদের দেশে এই বাই সাইকেলগুলোর দাম সাধারণত ২৫হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যেই হয়ে থাকে।
pic e bike accessories
pic e bike accessories

তবে আপনি চাইলে খুচরা যন্ত্রপাতি ক্রয় করে পুরনো বাইসাইকেল কে ইলেকট্রিক বাই সাইকেলে রুপান্তর করতে পারেন।এক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৭-১০ হাজার টাকার মতো।

ইলেকট্রিক বাই সাইকেল ব্যাবহার এ তেমন কোন অসুবিধা নেই।তবে এই প্রযুক্তির বেশি ব্যবহারকারী হচ্ছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।সেই দৃষ্টিতে দাম অনেক সময় বেশিই মনে হতে পারে।সাধারন বাইসাইকেলএর তুলনায় ভারী হয়ায় অনেকের জন্য চালানো কস্টকর হতে পারে।তাছাড়া যন্ত্রপাতির জটিল বিন্যাস তো আছেই।
এই সব অতি ক্ষুদ্র অসুবিধাকে বিবেচনার বাইরে রাখলে ইলেকট্রিক বাই সাইকেল হাইব্রিড গাড়ি বা ইলেকট্রিক গাড়ির মতই আমাদের এবং আমাদের পরিবেশ দুটোর জন্যই অনেক বড় আশীর্বাদ।

One Pingback

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *