অন্যভুবন হুমায়ূন আহমেদ pdf Download (HD Print) – Anyobhubon pdf book by Humayun Ahmed
আমার পড়া মিসির আলি’র প্রথম উপন্যাস ছিলো এটি। এর পরেই শুরু হয়েছিলো মিসির আলি’র প্রতি তীব্র আকর্ষণ। তার পর একে একে মিসির আলি শেষ। এমনই বই ছিলো এটি, যা মিসির আলি’র প্রতি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলো!!
Anyobhubon pdf book by Humayun Ahmed info:
book | অন্যভুবন |
Author | হুমায়ূন আহমেদ |
Publisher | অনন্যা |
format | |
Edition | 12th Printed, 2012 |
Number of Pages | 64 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
অন্য ভুবন বই রিভিউ
বই: অন্যভুবন
লেখক: হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশনী: অনন্যা
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
মূল্য: ১২৫
সারকথা
ময়মনসিংহের এক ধনাঢ্য সফল ব্যবসায়ী, বরকতুল্লাহ সাহেব হঠাৎ মিসির আলি সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করেন। কুশল বিনিময়ের পর বরকত সাহেব তার সমস্যার কথা মিসির আলি কে জানায়।
অনেক খুঁটিয়ে খাটিয়ে দেখার পর মিসির আলি ব্যপারটি নিয়ে কাজ করবে বলে জানান।
বরকতুল্লাহ্ সাহেবের স্ত্রী মারা যান তার সন্তান জন্মের পরেই। উনার মেয়ে তিন্নি। ছোটবেলা থেকে নিজের হাতে মানুষ করার চেষ্টা করেছেন। মা ছাড়া মেয়েটির কোন অযত্ন হতে দেননি বরকত সাহেব। তিন্নি সবার মতো কথা বলতে পারতো না। ছয় বছর বয়সে তিন্নি প্রথম কথা বলে। ছোট বেলা থেকেই মেয়ের মধ্যে কিছু বিচিত্র স্বভাব লক্ষ করেন।
আর সেটাই ধীরে ধীরে মারাত্মক রুপ ধারণ করে। নয় বছর বয়সের তিন্নি অন্যান্য সাধারণ শিশুর থেকে পুরোপুরি আলাদা। সে অন্ধকারে দেখতে পায়। এবং মানুষের মনের কথা বলতে পারে। এমন আরো আশ্চর্য রকমের কিছু ক্ষমতা তার আছে। একদিন বরকতুল্লাহ্ সাহেব রাতে বাসায় ফিরলে তিন্নি বলে, আব্বু তুমি অমুক আংকেলের সাথে দেখা করে এসেছ তাই না! বরকতুল্লাহ্ সাহেব হতবম্ভ হয়ে গেলেন। তিন্নির আচরণ কোন ভাবেই অন্য শিশুদের মতো মনে হয় না।
এটুকুন মেয়ে বলছে বাবা তুমি আমাকে কিছু জিজ্ঞেস কর তো! দেখ আমি পারি কি না? বরকত সাহেব বললো; বলতো ষোল এর বর্গমূল কতো? তিন্নি হুট করে বলে দিল চার। অথচ এই বাচ্চা মেয়ে কখনো কোন রকম পড়াশোনা করেনি।
তিন্নি কেমন উদ্ভট উদ্ভট ছবি আকতো! গাছের সাথে কথা বলতো। এবং মানুষকে কষ্ট দেওয়ার এক অন্য রকম ক্ষমতা ছিল মেয়েটার।
এমন সব জটিল সমস্যার কথা বরকতুল্লাহ্ সাহেব মিসির আলিকে জানালেন। মিসির আলিও সেদিন ই বেড়িয়ে পড়লেন ময়মনসিংহের দিকে। বরকতুল্লাহ্ সাহেবের বাড়ীতে মিসির আলির সাথে ঘটে যায় খুব ভয়ংকর এবং অনেক বিচিত্র কিছু বিষয়। উনি কোন কিছুতেই এর কোন সমাধান করতে পারছিলেন না। সব কিছু ধীরে ধীরে গাঢ় হতে থাকে।
এবং তিন্নির আশ্চর্য আশ্চর্য ক্ষমতা যেন মিসির আলিকেও কাবু করে বসে। কিন্তু মিসির আলি হাল ছাড়ার লোক না।
তবে কি হয় শেষে? মিসির সাহেব কি তিন্নির এসব জটিল সমস্যার কোন কুল কিনারা বের করতে পেরেছিলেন। পেরেছিলেন মেয়েটিকে এমন উদ্ভট জীবন থেকে বের করে সাধারণ একটা শিশুর মতো বাচতে দিতে? নাকি তিনিও আর সবার মতো কাবু হয়ে যান তিন্নির আশ্চর্য ক্ষমতার জালে।
পাঠ প্রতিক্রিয়া
গল্পটি আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। মিসির আলি সিরিজের এটি আমার দ্বিতীয় বই। প্রথম বইটি ছিল আমিই মিসির আলি, সেখানে একটা আলিশান বাড়ীর বর্ণনা দেয়া হয়েছিল।
অন্যভুবনে ও ঠিক তেমন একটা বাড়ীর কথা বলা হয়েছে। এই বইয়ে তিন্নির রূপের বর্ণনা অতটা না করলেও অল্প কথায় মেয়েটিকে খুব অসাধারণ ভাবনার রুপ দিয়েছে। মিসির আলির বুদ্ধির একটা কুল এ গল্পে বলা হয়েছে। যেহেতু মিসির আলি থেকে আরো অনেক গুন আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল তিন্নির, তাই মিসির আলি বার বার কেমন চুপসে যাচ্ছিলেন। তবে উনি রহস্য উদ্বঘাটন করেই ছাড়বেন এটা জানা কথা।
আর এই উত্তেজনা নিয়েই বইটা শেষ করা। সব সময়ের মতো কিছু হাসি, তামশা এবং অনেক অজানা কিছু জানা হয়েছে এই বই থেকেও। আমার কাছে ভালো লেগেছে খুব। কারণ সমস্যা যত জটিল তার সমাধান ও তত কঠিন। এই বইয়ে মিসির আলিও খুব কঠিন ভাবে কাজটা হাতে নিয়েছিলেন। কারণ যতই দিন গড়াচ্ছিল রোগটা ততই প্রবল হতে চলছিল।