আরণ্যক উপন্যাস pdf ডাউনলোড (বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়) | Arannyak Pdf Download

বইয়ের নামঃ আরন্যক
লেখকঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রকাশনীঃ আবির বুকস (অনেক প্রকাশনীর আছে)
ধরনঃ চিরায়ত বাংলার উপন্যাস
মূল্যঃ ১১০ টাকা
প্রকাশকাল/ প্রথম প্রকাশঃ ১৯৩৯
পৃষ্ঠাঃ ১৬৮

আরণ্যক উপন্যাসের বিষয়বস্তু

কাহিনীসংক্ষেপঃ বিভূতিভূষণ আমার বেশ প্রিয় লেখক, পথের পাঁচালি থেকে শুরু করে দুই বাড়ি কিংবা আরণ্যক সব, আরণ্যক উপন্যাস টা কয়েক বছর আগে পড়েছিলাম, কিন্তু কাহিনী ভুলে গেছিলাম, কাল আবার পরা শুরু করলাম, এরপরে মনে পড়তে থাকল, যে বইটা পড়েছিলাম।

গল্পে আসি- সত্যচরণ, বি এ পাস করে বেকার, মেস এ খাওয়ার কিংবা ভাড়ার টাকা দেয়ার সামর্থ নাই। হেন কোন জায়গা নাই যেখানে সে চাকরী খোঁজেনি… এরপরে এক স্বরসতী পূজার দিনে বেশ পুরনো এক বন্ধুর সাথে দেখা… এই বন্ধুর মাধ্যমেই বন্ধুর ভাগালপুর এর কাছাকাছি একটি জমিদার এর এস্টেট, জঙ্গলের খুব কাছে…।।
নিসংগ জঙ্গলে তার জীবনের ঘটনাপঞ্জি, তার নিজের ভাষা্য ব্যক্ত …।
শহরে বেড়ে ওঠা এক ছেলে, হঠাৎ নির্জন জঙ্গলে গিয়ে পড়ে, প্রথমে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যায়, তাকে একজন বলে কিছুদিন পরে নাকি এই জায়গা ছেড়ে থাকতে ভাল লাগবেনা…।

এক সময় সেটায় সত্য হয়… সবুজ আর বন্য সৌন্দর্যে মুগ্ধ সত্য……
এই এলাকার সাথে মানিয়ে নেয়াটা খুব একটা শক্ত পরীক্ষা ছিল তার জন্য। মানুষের অভাব, স্বভাব আচরণে সে কিছুটা অবাক ছিল, কত রকমের মানুষের সাথে তাকে তাল মিলিয়ে চলতে হয়েছে, কত পরিস্থিতি তাকে মোকাবেলা করতে হয়েছে…।। এর মাঝে গল্পে আসে কুন্তা, সুরতিয়া, মহাজন, কাঠুরে, মহিষপালক, ভিখারি, বিচিত্র থেকে বিচিত্রতর মানুষ … এদের কাছে সে প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠে !কখনও অপ্রিয়।।
কেউ হাতী পাঠিয়ে দাওয়াত করে নিয়ে যায়, কেন এই রাজকীয় দাওয়াত???
কুন্তা সত্যের পাতের ভাতের জন্য রোজ রাতে আসে,কে এই কুন্তা?
একদিন জঙ্গলে আগুন লাগে, ছড়িয়ে পড়ে আগুন, কাছারী বাড়ী কি রক্ষা করতে পারবে সত্য?

কিন্তু এরপর ………………। তার হাত ধরে নাঢ়া- লবটুলিয়া তে আসে এক বিশাল পরিবর্তন। কি সেই পরিবর্তন????
এক সময় জমিদার আর তার মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। কি হবে এর পরে??
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ অবশ্যই আরণ্যক বিভূতিভূষণের সেরা উপন্যাসগুলোর মধ্য একটি। এটি লেখকের ৪র্থ উপন্যাস … যদিও উপন্যাসটি সাধু ভাষায় লেখা, তবু পড়তে কিংবা বুঝতে কষ্ট হবে না একটুকুও…
প্রকৃতি আর মানুষের কি নিখুঁত যোগ এই উপন্যাসে,ওই জঙ্গল-ওইগ্রামের মানুষের জীবনের এত নিখুঁত ছবি আঁকা সহজ না…।।

এত খুঁটিনাটি বিষয় লেখক নজরে রেখে উপন্যাসের কাহিনী এগিয়ে নিয়েছেন, বই পড়া শেষ হবে, রেশ থেকে যাবে, বইটা পড়লে আমার ও মনে হয় চলে যাই কোন অরণ্যে… হয়ত এখন অ কোন নাঢ়া-লবটুলিয়া আছে আমাদের দেশে, হয়ত আজ কোন আরণ্যক বইটা হাতে নিয়ে বসে আছে………

বিভূতিভূষণের লেখনী নিয়ে কিছু বলার সাহস আসলে করিনা, প্রতিটা শব্দ-বাক্য নিজের মনে হয়…। এত নিখুঁত বর্নণা কিভাবে দেয়া সম্ভব?? কতটা জানা প্রয়োজন এই ছোট্ট একটা উপন্যাসের জন্য সেটা বোধহয় বলা বাহুল্য…
বইটা পড়তে পড়তে মনে হয়েছে আমি নিজেই হয়ত চলে গেছি বহু দূরে, যেখানে সভ্যতার আলো নেই, নেই জ্যাম, কালো ধোঁয়া……………।। সত্যের মত আমার ও প্রশ্ন কেমন আছে কুন্তা? কে কোথায় আছ?
আর

“ হে অরণ্যানীর আদিম দেবতারা, ক্ষমা করিও আমায়!”

এই কথাটার মাহাত্য যদি আমরা বুঝতাম…… তাহলে হয়ত আজকে পৃথিবীটা আরো সবুজ থাকত…।।

আরণ্যক উপন্যাস pdf

Book: Arannyak Pdf Download

আরণ্যক উপন্যাসের চরিত্র বিশ্লেষণ:

পুরুষ চরিত্র: উপন্যাসের নায়ক হলেন সত্যচরণ — একজন তরুণ যুবক, যাকে কাজের সন্ধানে কলকাতার বহু জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হয়। একসময় সে জঙ্গলে একটি চাকরি পেয়ে যায়। সে তথাকথিত সভ্যজগতের সাথে বনের সেতুবন্ধন। এই চরিত্রটির উপস্থিতি ছাড়া গল্পে না বলা দুই জগতের তুলনা,

নারী চরিত্র:

সত্যচরণ সাঁওতাল পরগণায় (দোবরুর বাসস্থান) যান। জগরু পান্না দোবরুর ছেল, যার কাহিনিতে তেমন কোনো প্রভাব নেই। কিন্তু দোবরুর নাতনী ভানুমতীর সাথে সত্যচরণের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। উপন্যাসের শেষের দিকে, সত্যচরণ যখন চিরতরে বন ত্যাগ করতে চলেছেন, তখন তিনি শেষবারের মতো ভানুমতীর কাছে যান। সেখানে দেখা যায়, সত্যচরণ ভাবেন,

 “আমি যদি ভানুমতীকে বিয়ে করতে পারি এবং আমাদের জন্য একটি সুখী বাসা বাঁধতে পারি… ভানু কোন কল্পনাপ্রসূত দৈত্যের কথা বলতে পারে, এবং আমি তার শ্রোতা হতাম.. কিন্তু এটি শুধুমাত্র স্বপ্ন এবং স্বপ্ন কখনো সত্য হতে পারে না…”

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন জনপ্রিয় ভারতীয় বাঙালী কথাসাহিত্যিক। তিনি মূলত উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন।

Aranyak Cover
Aranyak Cover
book আরণ্যক উপন্যাস pdf
book আরণ্যক উপন্যাস pdf

আরণ্যক উপন্যাসের নামকরণের সার্থকতা: “আরণ্যক” উপন্যাসের নামই উপন্যাসের মূল কথা বলে দিচ্ছে। ‘সত্যচরণ’ চরিত্র দিয়ে উপন্যাসের শুরু যে পড়া লিখা শেষ করে আজকালকার সাধারণ যুবকদের মতোই চাকরীর খোঁজ করছিল বিভিন্ন জায়গায়, এমন সময় হুট করেই তার এক বন্ধু তাকে জঙ্গলে চাকরী দেয়। প্রথমে সে অনেক ভাবছিল কি করে শহরের মানুষ হয়ে জঙ্গলে থাকবে বা কীভাবে তার সময় পার করবে কিন্তু যতই দিন যেতে লাগলো জঙ্গলের প্রতি তার ভালো লাগা গভীর হতে থাকলো। তার সামনে একের পর এক চরিত্র গুলো আসতে থাকে, বন-জঙ্গল এর রহস্য তাকে ঘিরে ধরতে থাকে। কখনো বাঘের ভয়, কখনো বন্যমহিষের সব ভয় এক হয়ে তার এক একটা দিন এক একটা বছর খুব রোমাঞ্চক ভাবে তার কাটতে থাকে। তার ভাগ করে দেয়া জঙ্গলের জমিতে মানুষ গুলো ফসল চাষ করতে থাকে। পাহাড় – নানান রকম গাছ – পশু- পাখি -ঝর্না – পাহাড়ি মানুষ- সেসব মানুষদের কথা- সংস্কৃতি সব কিছুর একার দর্শক হয়ে থাকে সত্যচরণ সে সব মুগ্ধ হয়ে চোখ ভরিয়ে দেখে নিতে থাকে কিন্তু কখনো তাদের সাথে গভীর আরণ্যে ডুবে যেতে পারে না কারণ তার চাকরী শহুরে লোক সামান্য চাকুরীর জন্য সেখানে গিয়েছে, জঙ্গলে তার কোন স্থান নেই। শেষ সময়ে যখন তিনি পেছন ফিরে তাকিয়ে ছিল তখন নিজের অজান্তেই চোখের কোণে অশ্রু এসেছিল কারণ তিনি না চাইতেও প্রকৃতি মাকে খণ্ডে খণ্ডে ভাগ করে এক বীভৎস রূপে সাজিয়ে ফেলেছিল কারণ সেটাই তার চাকুরীর কাজ ছিল। যদিওবা তারও ইচ্ছে হয়েছিল সাঁওতাল রাজকন্যা ভানুমতীকে জীবনসঙ্গী বানিয়ে তাদের সাথেই আরণ্যের গর্ভে ডুব দিতে কিন্তু তিনি পারেনি নিজের গণ্ডী পার হতে, পারেনি অজানা একটা শৃঙ্খল ভাঙতে।

উপন্যাসটি পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল আমি নিজেই সত্যচরণ হয়ে গেছি , আমি বনে-জঙ্গলে ঘোড়ায় চড়ে বেড়াচ্ছি -পাহাড়ি মানুষদের সাথে কথা বলছি-অবাক চোখে সব দেখছি; বইটা পড়া মুহূর্তের সময় গুলো আমার মুগ্ধতায় কেটেছে, বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় খুব সূক্ষ্ম – সুনিপুণ ভাবে উপন্যাসটি রচনা করেছেন কারণ প্রকৃতির সৌন্দর্য কাগজে কলমে বর্ণনা করা বেশ কঠিন কাজ।

‘আরণ্যক’ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর রচিত চতুর্থ উপন্যাস। ১৯৩৯ সালে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিহারে তার কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে উপন্যাসটি রচনা করেন।

উপন্যাস পড়া শেষ করে ভেবেছিলাম-অনেক সুন্দর করে অনেক কথায় অনেক গুছিয়ে একটা প্রতিক্রিয়া লিখবো কিন্তু এখন লিখতে বসে সেসব কিছুই লিখতে ইচ্ছে করছে না কারণ আমি চাচ্ছি যারা এখনো বইটি পড়েনি তারা যেন আমার প্রতিক্রিয়া পড়ে কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বা আমি যা বলেছি সেসবের সত্যতা খোঁজার জন্য হলেও বইটি পড়ে দেখে, আমি চাই সবাই বইটি পড়ুক আমার মতো মুগ্ধ না হোক অন্ততঃ জানুক আরণ্যক নামক উপন্যাসে আরণ্যের ছোঁয়া আছে।
শুভ হোক আপনার পাঠ্য কার্যক্রম।

আরণ্যক উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন :-আরণ্যক উপন্যাসের কথকের নামকি ছিল ?
উত্তর:- সত্যচরণ
প্রশ্ন :- উপন্যাস এর শুরুতে কথক কত বছর আগের কথা বলে জানিয়েছেন ?
উত্তর:- 15 -16 বছর ।
প্রশ্ন :- সত্যচরণ কি পাস করে কোথায় অবস্থান করছিল ?
উত্তর বি. এ পাস। কলিকাতায় ।
প্রশ্ন :-মেসে চাকরের নাম কি ছিল?
উত্তর:- জগন্নাথ।
প্রশ্ন :- ম্যানেজার তাগাদার চিঠিতে কত টাকা দেয়ার কথা বলেছিল? আর কথক এর কাছে কত টাকা ছিল ?
উত্তর:- 10 টাকা । 2 টাকা আর কয়েক আনা পয়সা ।
প্রশ্ন :- কথকের মেসে কত মাসের টাকা বাকি ছিল?
উত্তর:- দুমাসের।
প্রশ্ন :-কোন ময়রার দোকানে অনেক নতুন খাবার থালায় সাজানো ছিল ?উত্তর :-অভয় ময়রার ।
প্রশ্ন :-সত্যচরণ কলিকাতায় কোন স্কুলে চাকরি করতো ?
উত্তর:- জোড়াসাঁকো স্কুলে।
প্রশ্ন :- কত বছর হল সে চাকরি ছেড়েছে ?
উত্তর:- এক বছর ।

প্রশ্ন:- হঠাৎ পথে কার সঙ্গে সত্যচরণ এর দেখা হয়েছিল? সে আর সত্য়চরন কোথায় এক সঙ্গে থাকতো ?
উত্তর :- সতীশ এর সাথে। হিন্দু হোস্টেল।
প্রশ্ন:- সতীশ বর্তমানে কি করে ?
উত্তর:- আলিপুরের উকিল।
প্রশ্ন :- উকিলের কাজ ছাড়া আর কি করত সতীশ?
উত্তর :-বালিগঞ্জের দিকে টিউশনি ।
প্রশ্ন:- ওয়ার্ড সিক্সের কার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর :-অবিনাশ ।
প্রশ্ন:- অবিনাশ কোথাকার জমিদারের ছেলে ?
উত্তর :- ময়মনসিংহ ।

প্রশ্ন :- অবিনাশ কি করত?
উত্তর:- বড় গায়ক।
প্রশ্ন :-জলসায় কোন কোন প্রকারের গান হয়েছিল?
উত্তর:- ঠুংরি ও কীর্তন।
প্রশ্ন :- জলসা কখন ভেঙেছিল?
উত্তর :-রাত 11 টার সময় ।
প্রশ্ন :- ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি করা হয়েছিল কাকে ?সেই বারের বিষয় কিছিল ?
উত্তর :@গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। “স্কুল কলেজে বাধ্যতামূলক ধর্ম শিক্ষা প্রবর্তন করা উচিত”।
প্রশ্ন :-সেই বারের প্রস্তাবকর্তা ও প্রতিবাদী পক্ষের নায়ক কে ছিল?
উত্তর:- অবিনাশ । সত্যচরণ ।

প্রশ্ন :- অবিনাশ কোথায় থাকতো এবং সে কটার সময় চা খাবার নেমন্তন্ন করেছিলসত্যচরনকে?
উত্তর:- হ্যারিংটন স্ট্রিটে । চারটেরসময় ।
প্রশ্ন :- “লিখে রাখো তো নোট বইয়ে ” – কাকে কী লিখে রাখার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- সত্যচরন কে। 33/2 ।
প্রশ্ন :-অবিনাশের বাড়ির গেটে কি ধরনের লতা লাগানো ছিল ?
উত্তর :- উইস্টারিয়া।
প্রশ্ন :- অবিনাশের দারোয়ান কোন দেশের ছিল ?
উত্তর :-নেপালি।
প্রশ্ন :-অবিনাশের বাড়ির কাছে রাস্তা টি কেমন ছিল?
উত্তর :- লাল সুরকির বাঁধা রাস্তা।
প্রশ্ন:- রাস্তার দুই ধারে কি কি ছিল ?
উত্তর:- একধারে সবুজ ঘাসের বন,অন্যধারে বড় বড় মুচুকুন্দ চাঁপা ও আম গাছ ।
প্রশ্ন :-বারান্দায় বড় একখানা কি গাড়ি ছিল?
উত্তর:- মোটর গাড়ি ।
প্রশ্ন :- অবিনাশের বাড়ির লোক কি উপলক্ষে দেশে গিয়েছিল?
উত্তর :- অবিনাশের ভগ্নির বিবাহ উপলক্ষে ।
প্রশ্ন :- অবিনাশের ভগ্নীর বিবাহ কোন মাসে হয়েছিল?
উত্তর:- অগ্রহায়ণ মাসে।
প্রশ্ন:- অবিনাশদের জঙ্গলমহল ছিল কোনজায়গায় ?প্রায় কত বিঘা জমি নিয়ে তৈরি?
উত্তর :- পূর্ণিয়া জেলা । 20-30 হাজার বিঘা।
প্রশ্ন:-” জমিদারের ঘুণ কর্মচারী আমরা চাইনি”- কারণ কি ?
উত্তর :-তারা প্রায়ই চোর হয়।
প্রশ্ন:- অবিনাশের বাড়িতে চা খাবার কত সপ্তাহ পরে সত্যচরণ পূর্ণিয়া জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন এবং কোন স্টেশনে নেমে ছিলেন ?
উত্তর :-দুই সপ্তাহ । বি এন ডব্লিউ।

প্রশ্ন:- বনশ্রেনীর মাথায় অল্প অল্পকি জমে ছিল ?
উত্তর :- কুয়াশা ।
প্রশ্ন:@ রেল লাইনের ধারে কিসের ক্ষেত?
উত্তর :- মটর ক্ষেত ।
প্রশ্ন :- গরুর গাড়িতে কতটা রাস্তা সারা রাত্রি ধরে চলা হয়েছিল?
উত্তর 15-16 ক্রোশ।
প্রশ্ন :- কাছারীতে সত্যচরণ কখন পৌঁছালেন?
উত্তর :-বেলা 10 টায়।
প্রশ্ন :- কত বিঘা জমি পরিষ্কার করে খড়ের ঘর তৈরি করা হয়েছিল এবং ঘর গুলি কি দিয়ে তৈরি?
উত্তর :-10-15 বিঘা। কাঠ, বাঁশ ও খড় দিয়ে ।
প্রশ্ন :- ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে কিসের গন্ধ পাওয়া গিয়েছিল?
উত্তর:- টাটকা কাটা খড়, কাঁচা ঘাস ও বাঁশের গন্ধ ।
প্রশ্ন :- কাছারিতে লোকজন যারা ছিল তারা কি রকম প্রকৃতির?
উত্তর :- বর্বর ।
প্রশ্ন :- কাছারিতে পৌঁছে প্রথম কদিন খুব কষ্টে কেটেছিল ?
উত্তর :- 10 দিন ।
প্রশ্ন:- কাছারির বৃদ্ধ মুহুরীর নাম কি?তিনি কত বছর কাছারিতে আছেন ?
উত্তর :- গোষ্ঠ চক্রবর্তী । 17 18 বছর ।
প্রশ্ন :- গোষ্ঠ চক্রবর্তীর বাড়ি কোথায় ?
উত্তর:- বর্ধমান জেলার স্টেশনের এর কাছে কোন এক গ্রামে ।
প্রশ্ন:-গোষ্ঠ চক্রবর্তী কিসের তাড়নাই এখানে এসেছিলেন ?
উত্তর:- ম্যালেরিয়ার।

প্রশ্ন :- গোষ্ঠ গত মাসে মুঙ্গেরে গিয়েছিল? কি করতে
উত্তর :- মোকদ্দমার কাজে।
প্রশ্ন :-গোষ্ঠ বাবু সত্যচরন কে রাত বিরাত শিয়রে কি রেখে শুতে বলেন?উত্তর :- বন্দুক।
প্রশ্ন :- কতকাল আগে এখানে ডাকাতি হয়েছিল বলে গোষ্ঠ জানিয়েছে ?
উত্তর:- 8-9 বছর আগে ।
প্রশ্ন :- উদীয়মান চন্দ্রের পটভূমিকায় আঁকাবাঁকা একটি বন ঝাউয়ের ডাল দেখে কোথাকারের কোন চিত্রকরের কথা মাথায় এসেছিল?
উত্তর:- জাপানি চিত্রকর । হকুসাই।
প্রশ্ন :- কাছারির অনতিদূরে বটগাছ টির নাম কি ছিল?
উত্তর :- গ্রান্ড সাহেবের বটগাছ।
প্রশ্ন:- বৃদ্ধ মুসলমান কোথায় বই বিক্রি করতো ?
উত্তর :- প্রেসিডেন্সি কলেজে ।
প্রশ্ন :- বৃদ্ধ মুসলমানের দোকানে কথক কি কি উল্টাতো ?
উত্তর :- বই ও মাসিক পত্রিকা ।
প্রশ্ন :- “সেও যেন পরম আত্মীয় বলিয়া মনে হইত”- কার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর:- বৃদ্ধ মুসলমান টির কথা ।
প্রশ্ন :- সিপাহীর কি নাম ছিল?
উত্তর:- মুনেশ্বর সিং।
প্রশ্ন :-মুনেশ্বর সিং সত্যচরন কে কি কিনে দেবার হুকুম দিতে বলেছিলেন এবং কাকে হুকুম দেয়ার কথা বলেছে?
উত্তর:- লোহার কড়া। মুহুরী বাবুকে ।
প্রশ্ন :- লোহার কড়ার দাম কত ছিল বলে মুনেশ্বর জানিয়েছিল ?
উত্তর :- দাম 6 আনা।
প্রশ্ন :- কোথা থেকে কত নম্বরের কড়া কিনে এনেছিল?
উত্তর :- নওগাচ্ছিয়ার বাজার থেকে ।

#আরণ্যক#বিভূতিভূষণ_বন্দ্যোপাধ্যায়———————————–দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ—————–

প্রশ্ন :- কথক কোথা থেকে সদ্য এসেছেন বলে জানিয়েছেন ?এবং চিরকাল কোথায় কাটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ?
উত্তর:- বাংলাদেশ । কলিকাতায় ।
প্রশ্ন :- কাছারির ঘরগুলো কিসের জঙ্গলের আড়ালে পরে ?
উত্তর :- বন ঝাউ ও কাশ জঙ্গলের ।
প্রশ্ন :- যোপ গুলিতে কোথাকার বন টিয়ার থাকার কথা উল্লেখিত ?
উত্তর :- হিমালয়ের ।
প্রশ্ন:- কাছারি থেকে কত দূরে একটা না বাল জায়গা বা ক্ষুদ্র কয়েকটি পাহাড়ি ঝরনা বয়ে যাচ্ছিল?
উত্তর :- এক ক্রোশ দূরে ।
প্রশ্ন :- ঝরনার দু পারে রে কিসের বন?
উত্তর :- জলজ লিলির।
প্রশ্ন :- জলজ লিলিকে কলিকাতার বাগানে কি বলা হয়?
উত্তর :- স্পাইডার লিলি।
প্রশ্ন :- কাছারি থেকে কত মাইল দূরে সার্ভে পার্টি কাজ করছিল?
উত্তর :- 10 থেকে 15 মাইল দূরে ।
প্রশ্ন :- এখানকার জমিগুলি কত বছর পূর্বে নদীগর্ভে সৃষ্টি হয়ে গেল এবংকত বছর হল বেরিয়ে আসছে?
উত্তর:- 30 বছর । 20 বছর ।
প্রশ্ন:- জমিদারের কড়া হুকুম কি ছিল ?
উত্তর :- কোন পুরাতন প্রজাকে জমি দেওয়া হবেনা ।
প্রশ্ন :- পুরাতন প্রজাদেরকে জমি না দেওয়ার কারণ কি ?
উত্তর :- তারা পুরাতন সত্ত্ব (ন্যায্য অধিকারের )আইনত দাবি করতে পারে।
প্রশ্ন :- নতুন প্রজা সংগ্রহ করতে গিয়ে কোন কোন জেলার লোক উপস্থিত হয়েছিল?
উত্তর :- মুঙ্গের ,পূর্ণিয়া ,ভাগলপুর,চাপরা প্রভৃতি নিকটবর্তী জেলা থেকে ।
প্রশ্ন :- মৃদু গতিতে দশ হাজার বিঘা জমি কত সময় লাগার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর :- 20-25 বছর ।

প্রশ্ন :- ডিহি কত দূরে ছিল?জায়গাটির নাম কি ছিল?
উত্তর :- 19 মাইল দূরে । লবটুলিয়া ।
প্রশ্ন :- সেখানে কাছারি রাখার উদ্দেশ্য কি ছিল ?
উত্তর :- গোয়ালাদের গরু মহিষ খাজনা করে দেওয়ার জন্য।
প্রশ্ন :- লবটুলিয়া কত বিঘা জমি ছিল?কি জন্য কুল বন লোকে জমা নিত ?
উত্তর :- দু তিনশ বিঘা । লাক্ষা কীট পুষিবার জন্য ।
প্রশ্ন :- সেখানে টাকা আদায় করিবার জন্য কত টাকা বেতন দিয়ে একজন পাটোয়ারীকে রাখা হয়েছিল?
উত্তর :- 10 টাকা ।
প্রশ্ন :- কাছারি ও লবটুলিয়া মাঝখানে যে সাত আট মাইল এর লম্বা উঁচু রাঙামাটির ডাঙা দেখা যেত তার নাম কি ?
উত্তর :- ফুলকিয়া বইহার।
প্রশ্ন :- লবটুলিয়ার পাটোয়ারী কি মাছ এনেছিল ?এবং কত ওজনের ?
উত্তর :- রুই মাছ । সের পাঁচেক।
প্রশ্ন :- সত্যচরণ এর সাথে সাক্ষাৎ করবার জন্য কতজন লোক কাছারিতে অপেক্ষা করছিল? এবং তারা কি জন্য অপেক্ষা করছিল ?
উত্তর :- 7-8 জন । ভাত খেতে পাবে এই আশায় ।
প্রশ্ন :- ওই চারজনের মধ্যে কাকে রান্নার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল সেকোন জাতির ছিল?
উত্তর :- কন্টু মিশ্র। মৈথিল ব্রাহ্মণ।
প্রশ্ন :-এখানকার লোকেরা বারো মাস কি খাই ?
উত্তর :- কলায়ের ছাতু, মকাইয়ের ছাতু ।
প্রশ্ন :- কন্টু মিশ্র কাছে বসে কিসের আগুন জ্বালিয়ে মাছ রাঁধ ছিল এবং সেই ধোঁয়া থেকে কিসের সুগন্ধ বের হচ্ছিল?
উত্তর :- আসানকাঠের । ধুনা পোড়াবার।
প্রশ্ন :- কে কথকের মনোযোগ কে আকৃষ্ট করেছিল ?তার বয়স কত? তার রং কি রকম ?
উত্তর :- গনোরি তেওয়ারি । 30 থেকে 32 বছর । শ্যাম বর্ণ ।
প্রশ্ন :- এই শীতে গনোয়ারী তেওয়ারির গায়ে কি ছিল ?
উত্তর :- মোটা চাদর ।
প্রশ্ন :- গনোয়ারী কোথায় থাকতো ?
উত্তর:- ভীমদাসটোলা ।
প্রশ্ন :-“আমার প্রতি কথার উত্তরে কে বল সে বলে- হুজুর “– কে বলে ?
উত্তর :- গনোরিয়া তেওয়ারি।
প্রশ্ন :- গনোরি তেওয়ারির কত বছর বয়সে বাবা মারা গেছিল এবং বাবার কত বছর পর তার পিসি মা মারা গিয়েছিল?
উত্তর :-12 বছর । 5 বছর পর ।
প্রশ্ন :- পূর্ণিয়া ,ভাগলপুর,ফুলকিয়া বইহার ,কোশী নদী কোন দিকে ছিল ?
উত্তর :- যথাক্রমে পূর্বে ,পশ্চিমে, দক্ষিনে, উত্তরে ।
প্রশ্ন :-গনোয়ারীর মতে কারা রোজ ভাত খাই?
উত্তর :- নাউগচ্ছিয়ায় মাড়োয়ারীরা।

প্রশ্ন :- গনোয়ারী কতদিন পরে ভাত খেয়েছিল ?এর আগে সে কোথায় কবে ভাত খেয়েছিল ?
উত্তর :- তিন মাস পরে । রাসবিহারী সিং রাজপথের বাড়িতে নেমন্তন্নে । ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে ।
প্রশ্ন :- ভীমদাসটোলা ও পর্বত হইতে কত মাইল পথ হেঁটে বিনা নেমন্তন্নে লোক খেতে এসেছিল?
উত্তর :- 9 মাইল ।
প্রশ্ন :- সিপাহী ও স্কুল মাস্টার কে ছিল ?
উত্তর :- সিপাহী বিষ্ণুরাম পাঁড়ে,স্কুল মাস্টার গনোরি তেওয়ারি ।
প্রশ্ন :- জঙ্গলের মধ্যে পদশব্দ শুনে কথক কাকে ডেকেছিল ?
উত্তর :- বিষ্ণুরাম পাঁড়ে ও গনোরি তেওয়ারিকে ।

প্রশ্ন :- গনোরিয়া তেওয়ারি কান পেতে কারা দৌড়াচ্ছিল বলে জানিয়েছে?বা তাদের দৌড়ানোর কি কারণ জানিয়েছিল ?
উত্তর :- নীলগায়ের জেরা । জানোয়ার তারা করায় (শের ভাল্লুক)।
প্রশ্ন :- বাঁশডাঁটায় বাঁধা আগড়কে কে ঠেলা মারলেই উল্টে পড়ে যাবার সম্ভাবনা ছিল ?
উত্তর :- কুকুর ।
প্রশ্ন :- “এক দিনের কথা জীবনে কখনো ভুলিব না”- কোন দিনের কথা ?
উত্তর :- দোল পূর্ণিমার কথা ।
প্রশ্ন :- কাছারির সিপাহীরা ছুটে এসে কি বাজিয়ে হোলি খেলছিল ?
উত্তর :- ঢোল।
প্রশ্ন :-হেড অফিসের জন্য চিঠি পত্র লিখতে কথকের কটা বেজেছিল
উত্তর :-প্রায় রাত 1 টা
প্রশ্ন :- শীতে জমে যাওয়ার উপক্রম দেখে কথক কি ধরিয়েছিলেন ?
উত্তর :- সিগারেট।
প্রশ্ন :- “আমাকে মুগ্ধ করলো ” – কাকে কি মুগ্ধ করেছিল ?
উত্তর :- গল্প কথক কে । পূর্ণিমা নিশীথিনীর অবর্ণনীয় জ্যোৎস্না ।
প্রশ্ন :- এইসব জনহীন স্থান গভীর রাত্রে জ্যোৎস্নালোকে কাদের বিচার বিচরণভূমি পরিণত হয়?উত্তর :- পরীদের ।
প্রশ্ন :- কোন মাসে দুধলি ফুল ফোটে ?
উত্তর :- ফাল্গুন মাসে।
প্রশ্ন :- ডিহিআজমাবাদের সার্ভে ক্যাম্প থেকে ফেরার পথে পথ হারিয়ে কতক্ষণ ঘুরেও জঙ্গলের কুল-কিনারা পায়নি ?
উত্তর :- 2 ঘন্টা ।

প্রশ্ন :- কতটা পথ যাওয়ার পর জঙ্গলের মধ্যে একটা আলো দেখা গিয়েছিল ?
উত্তর :- মাইল দুই যাওয়ার পর ।
প্রশ্ন :- কথক সেইদিন কতক্ষণ ঘোড়ার উপরে চেপে ছিলেন ?
উত্তর :- প্রায় 6 ঘন্টা ।
প্রশ্ন :- গনু মাহাতো কথক কে কিসে বসতে দিয়েছিলে ?
উত্তর :- ঘাসের চাটাইয়ে।
প্রশ্ন :- গনু মাহাতো কোন জাতির লোক ?উত্তর :- গাঙ্গোতা ।
প্রশ্ন :- গনু মাহাতোর বাড়ি কোথায় ছিল ?
উত্তর :- উত্তরে ধরমপুর লছমুনিয়াটোলা ।
প্রশ্ন :- গাঙ্গোতা জাতির উপজীবিকা কি ?
উত্তর :- চাষবাস ও পশুপালন করা ।
প্রশ্ন :- গনু মাহাতো কি করত তার কটা মহিষ ছিলউত্তর :- মহিষ চরাত । পাঁচটা ।
প্রশ্ন :- কাছারি থেকে ধরমপুর কত দূরত্বে অবস্থিত ?
উত্তর :- দশ ক্রোশ দূরে ।
প্রশ্ন :-গনু কিসের লম্বা পিকা বা চুরুট তৈরি করে কথক কে দিয়েছিল ?
উত্তর :- শালপাতার ।
প্রশ্ন :- গনু মাহাতোর বয়স কত বলে মনে হয়েছিল ?
উত্তর :- ষাটের উপরে।
প্রশ্ন :-গনুর খুপরির মধ্যে কিসের বাসন চকচক করছিল আগুনের আলোতে ?
উত্তর :- পিতলের ।
প্রশ্ন :- গনু মাহাতোর খুপরিতে বাঘ এসেছিল কেন? এবং সে কি করেছিল ?
উত্তর :- মহিষের দুটো বাচ্চা খেতে । শব্দ শুনে টিন বাজিয়েছিল ,মশাল জ্বালিয়ে চিৎকার করছিল ।
প্রশ্ন :- শীতকালে সারারাত এই বনে কি ডাকে।
উত্তর :- ফেউ ডাকে।
প্রশ্ন :- জঙ্গলের পেছনে গনু মাহাতোর কয় বিঘে খেড়ী ক্ষেত ছিল ?
উত্তর :- দুই বিঘা ।
প্রশ্ন :- গনু মাহাতো কি কি খেয়ে জীবন অতিবাহিত করতো ?
উত্তর :- খেড়ির দানা সিদ্ধ, বাথুয়া শাক, গুড়মী ফল ।
প্রশ্ন :- কোন মাসে গুড়মী ফল নুন দিয়ে কাঁচা খেতে বেশ ভালো লাগে? গুড়মী ফল কিসের মত ?
উত্তর :- ফাল্গুন মাসে । ছোট ছোট কাঁকুড়ের মত।
প্রশ্ন :-গনুর মতে কারা রোজ দুবেলা ভাত খাই?
উত্তর :- রাসবিহারী সিং নন্দলাল পাঁড়ে।
প্রশ্ন :- কথক কোথায় হাওয়াই গাড়ি দেখেছিল ?উত্তর:- ভাগলপুরে।
প্রশ্ন :- গনু কত মাসের ঘি একত্রিত করে, কত দূরে ,কোথায়, কাদের কাছে বিক্রি করতো ?
উত্তর :- দু-তিন মাসের । 9 মাইল । ধরমপুরের বাজারে । মাড়োয়ারিদের কাছে।
প্রশ্ন :- “গনুর মুখে কত অদ্ভুত কথা শুনিতাম” – কথা গুলি কি কি?
উত্তর :- উড়ুক্ক সাপের , জীবন্ত পাথরের, আঁতুড়ে ছেলের হেঁটে বেড়াবার ।
প্রশ্ন :- গনুর সকল কথার মধ্যে কথকের কোনটা আশ্চর্য বলে মনে হয়েছিল ?
উত্তর :-বন্য মহিষের দেবতা টাঁড়বারোরকথা।।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *