বিভিন্ন প্রকার সংখ্যা পদ্ধতির বর্ণনা অথবা সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ সমূহ
সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা পদ্ধতির ব্যবহার হয়ে আসছে।নিচে বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করা হলো :
১.জটিল সংখ্যা:
জটিল সংখ্যা হল বাস্তব সংখ্যা এবং কাল্পনিক সংখ্যার সমন্বয় সমষ্টি।অন্যভাবে বলা যায় যে জটিল সংখ্যা কে a+ib আকারে প্রকাশ করা হলে a বাস্তব অংশ এবং b কাল্পনিক অংশ আবার i হল এর কাল্পনিক একক।
২.প্রকৃত বা বাস্তব সংখ্যা:
মূলদ এবং অমূলদ সংখ্যা গুলো কে একত্রে প্রকৃত সংখ্যা বা বাস্তব সংখ্যা বলা হয়।বাস্তব সংখ্যা সাধারণত R দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
৩.কাল্পনিক বা অবাস্তব সংখ্যা:
যে সমস্ত সংখ্যার বাস্তবে কোন প্রয়োগ সম্ভব হয় না সে সমস্ত সংখ্যাকেই কাল্পনিক বা অবাস্তব সংখ্যা বলা হয়।
৪.মূলদ সংখ্যা:
যে সমস্ত সংখ্যাগুলোকে দুটি পূর্ণ সংখ্যার অনুপাত হিসেবে প্রকাশ করা যায়,সে সমস্ত সংখ্যাগুলোকে মূলক সংখ্যা বলা হয়।
৫.অমূলদ সংখ্যা:
যে সকল সংখ্যাগুলোকে দুটি পূর্ণ সংখ্যার অনুপাত হিসেবে প্রকাশ করা যায় না,সে সকল সংখ্যাগুলোকে অমূলদ সংখ্যা বলা হয়ে থাকে।
৬.পূর্ণ সংখ্যা:
শূণ্য সহ সকল ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক অখণ্ড সংখ্যাকেই পূর্ণ সংখ্যা বলা হয়ে থাকে।
৭.ভগ্নাংশ:
যে সমস্ত সংখ্যাকে দুটি পূর্ণ সংখ্যার ভাগফল রূপে প্রকাশ করা যায় সেই সকল সংখ্যাকে ভগ্নাংশ বলা হয়।
৮.অঋণাত্মক পূর্ণ সংখ্যা:
শূণ্য এবং ধনাত্মক অখণ্ড সংখ্যাসমূহকে অঋণাত্মক পূর্ণ সংখ্যা বলে।
৯.ঋণাত্মক পূর্ণ সংখ্যা:
ঋণাত্মক অখণ্ড সংখ্যা সমূহকে ঋণাত্মক পূর্ণ সংখ্যা বলা হয়।
১০.মৌলিক সংখ্যা:
যে সমস্ত সংখ্যা কেবলমাত্র এক ব্যতীত অন্য কোন সংখ্যা দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য নয় তাদেরকে মৌলিক সংখ্যা বলা হয়।
১১.যৌগিক সংখ্য :
যে সমস্ত সংখ্যা কেবলমাত্র এক ব্যতীত অন্য কোন সংখ্যা দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য তাদেরকে মৌলিক সংখ্যা বলা হয়।
১২.স্বাভাবিক সংখ্যা:
ধনাত্মক পূর্ণ সংখ্যা গুলোকেই স্বাভাবিক সংখ্যা বলা হয়।