Humayun Ahmed All books Pdf Download (275+)

দেয়াল PDF Download হুমায়ূন আহমেদ | Deyal Humayun Ahmed pdf

Deyal Humayun Ahmed pdf –

দেয়াল উপন্যাস pdf download : Click link2 here – link2

বইঃ দেয়াল [ Download PDF ]

বইঃ দেয়াল
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশনীঃ অন্যপ্রকাশ

এই বই নিয়ে তেমন কিছু বলবোনা!!!!

আমরা অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়তে ভালোবাসি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলতে আমরা শুধু ১৯৭১ সনের যুদ্ধকেই বুঝি কিন্তু, ১৯৭১ সনের পরে স্বাধীন বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা কিরকম হয়েছিল তা আমাদের অনেকেই জানিনা।
১৯৭১ সালের পরবর্তী সময় এর বাংলাদেশের করুণ দশা লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন এই বইয়ে।

কিভাবে ক্ষমতার জন্য কামরা-কামরি লেগেছিলো একটি স্বাধীন দেশের সেনাবাহিনীর কিছু কতিপয় সেনা সদস্য।
কিভাবে ক্ষমতার লোভ মানুষ থেকে হায়নায় পরিনত করতে পারে, কিভাবে নিজের আপনজনদের সঙ্গেই বেঈমানী করা হয়েছিলো, কিভাবে এক শহিদ পরিবার রাস্তায় ঘুরছিলো আর অন্য শহিদ(?) পরিবার সরকারি সব সুবিধা ভোগ করছিলো।

যুগ পাল্টে যায় পাল্টে যায় বেঈমানদের চেহারা, কিন্তু থেকে যায় তাদের পদচিহ্ন, থেকে যায় তাদের ইতিহাস।

ধন্যবাদ প্রিয় লেখককে এই ইতিহাস গুলো বইবন্দি করে রাখার জন্য৷।

দেয়াল

review

বেলা দুইটা চল্লিশ। ভাদ্র মাসের কঠিন ঝাঁজালো রোদ উঠেছে। ফ্যানের বাতাসও গরম। বঙ্গবন্ধু পাইপ হাতে তাঁর প্রিয় আরামকেদারায় এসে শোয়ামাত্র মাথার ওপরের ফ্যান বন্ধ হয়ে গেল। তিনি বিরক্তমুখে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করলেন। ভেবেছিলেন কিছুক্ষণ বিশ্রাম করবেন। শরীর ক্লান্ত, মনও ক্লান্ত। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের শত সমস্যা। সবই সমাধানের দায়িত্ব তাঁর। এটা কি সম্ভব? তিনি আলাদিনের চেরাগ নিয়ে আসেননি। দেশের সব পত্রপত্রিকার ধারণা, তাঁর কাছে চার-পাঁচটা আলাদিনের চেরাগ আছে। চেরাগগুলো তিনি রিলিফের কম্বলের নিচে লুকিয়ে রেখেছেন। এই যে কারেন্ট চলে গেল, এই নিয়ে কোনো না কোনো পত্রিকায় লেখা হবে, ‘মুজিবের লোকদের দুর্নীতিতে ইলেকট্রিসিটির বেহাল অবস্থা।’ তাঁকে সাহায্য করার কেউ নেই। সবাই আছে খাল কাটায়। নিতান্ত ঘনিষ্ঠজনেরাও এখন খাল কাটতে শুরু করেছে। খাল কাটছে আর দাঁতাল কুমির ছেড়ে দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় খাল কাটা ধরেছে আবদুর রব। বলতে গেলে সে ছিল তাঁর হাতের পাঁচ আঙুলের এক আঙুল। সেই আবদুর রবের এত সাহস—পল্টনের মাঠে তাঁর সমালোচনা করে বক্তৃতা দেয়! এই কাজ তো মওলানা ভাসানীও এখনো করেননি। আবদুর রব পল্টনের বক্তৃতায় প্রমাণ করার চেষ্টা করে শেখ মুজিব ব্যর্থ রাষ্ট্রনায়ক। তিনি এখন পা-চাটাদের প্রধান। তাঁর সব মমতা এখন পা-চাটাদের জন্য, দেশের মানুষের জন্য না।


আরে ব্যাটা! তুই সেদিনের ছেলে। হাঁ করলে এখনো তোর মুখ থেকে দুধের গন্ধ বের হয়। তুই রাষ্ট্র পরিচালনার বুঝিস কী? গলা ফাটিয়ে বক্তৃতা দিতে পারা মানেই রাষ্ট্র পরিচালনা না। তুই মনে রাখিস, এক চোপাড় দিয়ে তোকে ঠিক করতে পারি। হাতি-ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল! তুই তো মশারও অধম।
বঙ্গবন্ধু পাইপে টান দিলেন। পাইপ নিভে গেছে। পাইপ থেকে কোনো ধোঁয়া বের হলো না। নতুন করে পাইপ ধরানোর ইচ্ছেও হচ্ছে না। কয়েক মিনিটের জন্য চোখ বন্ধ করতে পারলে হতো। গরমে তাও সম্ভব না। তিনি মাথার ওপরের ফ্যানের দিকে তাকাতেই ফ্যান ঘুরতে শুরু করল। তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে চোখ বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই চোখের পাতা ভারী হয়ে গেল। হাত থেকে পাইপ মেঝেতে পড়ে গেল।


ঠিক ঘুম না, গাঢ় তন্দ্রার মতো এসেছে। তন্দ্রার এই অংশ থাকে দুঃস্বপ্নে ভরা। তিনি ছটফট করছেন। চোখের সামনে এখন আজরাইলকে দেখছেন। আজরাইল দেখতে মানুষের মতো, তবে শরীরভর্তি লাল লোম। সাইজেও ছোট, বামনদের মতো। মুখে চার পাটি করে দাঁত। হাসলে ভেতরের পাটির দাঁত দেখা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *