ময়ূরাক্ষী হুমায়ূন আহমেদ pdf Download (HD Print) – Moyurakkhi PDF (Book)
হিমু সিরিজের প্রথম বই “ময়ূরাক্ষী”….সত্যি দারুণ…..ময়ূরাক্ষী হিমুর কল্পনার এক নদীর নাম…যাকে সে যখন খুশি আনতে ও ভেনিশ করতে পারে…তার তীরে বসে বসে সে কল্পনায় হাজারো কিছু করে ফেলে.
হিমু স্বম্পর্কে ভালো করে জানতে হলে প্রথমেই পড়তে হবে বইটি. বইটি পড়লে হিমু কে ভালো করে বুঝা যাবে……অসাধারণ একটি বই….আর হ্যা আমার এইটা পড়ার পর থেকে হিমু হিমু ভাব আসছে.
Moyurakkhi Book PDF info:
- Book: ময়ূরাক্ষী
- লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ
- format- pdf
- মূল শিরোনামঃ ময়ূরাক্ষী
- ভাষাঃ বাংলা
- ধারাবাহিকঃ হিমু
- বিষয়ঃ হিমু, মহাপুরুষ।
- ধরনঃ উপন্যাস
- প্রকাশিতঃ ১৯৯০
- প্রকাশকঃ অনন্যা পাবলিকেশন
ময়ূরাক্ষী উপন্যাসটির গল্প চরিত্র, উক্তি, অর্থ ও বিষয়বস্তু সারাংশ, প্রকৃতি চেতনা, আলোচনা-সমালোচনা, নামকরণের সার্থকতা সহ সব ধরণের প্রশ্ন উত্তর পেতে এই সম্পুর্ণ পোস্টটি দেখুন।
ময়ূরাক্ষী হুমায়ূন আহমেদ বই রিভিউ
ময়ূরাক্ষী বই রিভিউ: হলুদ পাঞ্জাবী আর নীল শাড়ি পড়ে ময়ূরাক্ষী উপন্যাসের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে আগমন ঘটে হিমু এবং রূপার। হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট অমর চরিত্র এই হিমু-রূপা। যে কোন জটিল সমস্যার সহজ সমাধান এবং পরোপকারী কিন্তু রহস্যময় চরিত্রের বর্ণনায় ঘেরা হিমু্।
জন্মের পর যেমন কোন শিশুকে নাম-ধাম, বংশপরিচয় দেওয়া হয় তেমনি হিমুর বর্ণনায় বর্ণিত এই উপন্যাস। চৈত্রের ঝাঁঝালো রৌদ্দুর। একটা নোটবুক, দুইটা বলপয়েন্ট, শিশ ভাঙা পেনসিল আর পাঁচটাকা দামের চিপসে ভরা ব্যাগ নিয়ে তপ্ত পিচ ঢালা পথে হেঁটে চলেছে টুটুল।
ইন্দিরা রোডে বড় ফুফুর বাসায় দুপুরের দাওয়াতের বদলে টুটুলের যায়গা হলো রমনা থানায়। জেলে বসে কোন কাজ থাকে না। কোন উপায়ন্তর না দেখে টুটুল ময়ূরাক্ষী নদীটা আবিষ্কার করে নিলো। একবার নদীটা আবিষ্কার করতে পারলে অলস সময় পার করা কোন ব্যাপার না। সমস্ত দুপুর ময়ূরাক্ষীতে ডুব দিয়ে সন্ধায় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে টুটুল অথ্যাৎ বাদলের হিমু দা উপস্থিত বড় খালার বাসায়। বাদল হিমুর একনিষ্ঠ ভক্ত।
বাদল হিমু মামার সাথে জ্যোৎস্না বিলাসের পর থেকে মাথায় তার ভূত লেগেছে। বাড়ি থেকে পরিক্ষা দিতে বের হয় তো পরিক্ষার হলে প্রবেশ করে না।
বইয়ের এক পাতা পড়ে তো সেই পাতা আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। মাথা ভর্তি উকুন নিয়ে আগুনের উপর মাথা ঝাকা দেয়। এই অদ্ভুত সব সমস্যার উপর বিষ ভোড়া রিংকি। বিয়ের জন্য পাত্র দেখা হলো। সেই থেকে পাত্রের সাথে রাজ্যের আলাপ। তারা নাকি দু দিন পর পূর্ণিমা দেখতে যাবে সমুদ্রে। অদ্ভুত সব সমস্যার সমাধান করে দেয় হিমু। বড় খালার বাসার সবাই তার ভক্ত হয়ে পড়ে। মানুষকে বিশেষ ভাবে আকর্ষণ করার এক বিশেষ ক্ষমতা আছে এই হিমুর মাঝে।
ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার তৈরির জন্য যেমন মানুষকে গড়ে তুলতে হয়। মহাপুরুষ হওয়ার জন্যও মানুষকে তেমনি তৈরি করতে হয়।
হিমুকে তৈরি করেছে তার বাবা। পৃথিবীর সব জটিল, রুক্ষ পরিস্থিতির মাঝে বড় করা হয়েছে হিমুকে। তার মধ্য কোন আবেগের জন্ম হতে দেননি তিনি। হিমু তার বাবার হাতে তৈরি যোগ্য ছাত্র। রূপা নীল শাড়ী পড়ে অপেক্ষা করছে। হিমু কথা দিয়েছে সে আসবে। কিন্তু যায় না। তাঁকে হাঁটতে হবে সারাদিন।

গন্তব্যহীন সে যাত্রা – যার কোন শেষ নেই, কোন শেষ থাকার কথাও নয়। আমাদের সমাজে সকলের মাঝে বেড়ে উঠা সহজ সরল সাধারণ একটা যুবক। যার কোন গন্তব্য নেই। আমাদের ভাষায় যাকে বলে বাউণ্ডুলে। এমন একটা সাধারণ চরিত্রকে অসাধারণ করে চিত্রিত করাই একজন লেখকের লেখার সার্থকতা।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
হিমু নিয়ে মতামত দিতে গেলে বলতে হবে,,বই এর কথাগুলো, কথোপকথন গুলো অসাধারন। ভবঘুরে জীবন কাকে বলে তা বুঝতে হিমু আপনাকে পড়তেই হবে।ইচ্ছে করছে বেশ কিছু কথোপকথন তুলে দেই, কিন্তু দিব না।বইটা পড়ুন।ভালো লাগবে.
এই বই সম্পর্কে আর কি বলবো এই বই সম্পর্কে সবাই জানে ,অত্যন্ত সুন্দর একটা অসাধারণ বই.তবুও যদি না জেনে থাকেন তাহলে বলছি এক কথায় অসাধারণ.আমি অনেকগুলো বই পড়েছি তার মধ্যে আমার অন্যতম পছন্দের বই.পড়লে শুধু পড়তে ইচ্ছা করবে.
ময়ূরাক্ষী উক্তি – Moyurakkhi Quote
নির্লিপ্ততাঃ পৃথীবির সকল মহাপুরুষ এবং মহাজ্ঞানীরা এই জগৎকে মায়া বলিয়া আখ্যায়িত করেছেন – All the Great Man and Great Wiser have considered the earth as an illusion
ময়ূরাক্ষী – হুমায়ুন আহমেদ
ময়ূরাক্ষী নদীকে একবারই আমি স্বপ্নে দেখি। নদীটা আমার মনের ভেতর পুরোপুরি গাঁথা হয়ে যায়। এরপর অবাক হয়ে লক্ষ্য করি কোথাও বসে একটু চেষ্টা করলেই নদীটা আমি দেখতে পাই। তার জন্যে আমাকে কোনো কষ্ট করতে হয় না, চোখ বন্ধ করতে হয় না, কিছু না। একবার নদীটা বের করে আনতে পারলে সময় কাটানো কোনো সমস্যা নয়। ঘণ্টার-পর-ঘণ্টা আমি নদীর তীরে হাঁটি। নদীর হিম-শীতল জলে পা ডুবিয়ে বসি। শরীর জুড়িয়ে যায়। ঘুঘুর ডাকে চোখ ভিজে ওঠে।
ময়ূরাক্ষী – হুমায়ুন আহমেদ
আমি সারাদিন হাটিঁ। আমার পথ শেষ হয় না। গন্তব্যহীন যে যাত্রা তার কোন শেষ থাকার কথা না।
ময়ূরাক্ষী – হুমায়ুন আহমেদ
সৃষ্টিকর্তার অনুসন্ধান করিবে। ইহাতে আত্মার উন্নতি হইবে। সৃষ্টি কর্তাকে জানা আর আত্মাকে জানা একই ব্যপার।
ময়ূরাক্ষী – হুমায়ুন
হাসিতে খুব সহজেই মানুষকে চেনা যায়। সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে কিন্তু হাসার সময় একেক জন একেক করে হাসে।
ময়ূরাক্ষী – হুমায়ুন আহমেদ
বই: ময়ূরাক্ষী pdf links
Moyurakkhi book pdf By Humayun Ahmed Download link – ময়ূরাক্ষী pdf
or . Moyurakkhi pdf (ময়ূরাক্ষী)
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের “হিমু” সিরিজের প্রথম বই ময়ূরাক্ষী। নাম শুনলেই পড়তে ইচ্ছে করে। কল্পিত ময়ুরাক্ষী নদী এবং হিমুর বাবা, মামা, চাচা, ফুফু ও হিমুর শৈশবে বাবার উপদেশ এই বই এ লেখা হয়েছে। হিমুর নিত্যদিনের চলাফেরা ও কাজকর্ম পাঠকদের আনন্দ দিতে সক্ষম এতে কোন সন্দেহ নাই!