পথের পাঁচালী উপন্যাস pdf Download (বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়)

Pather Panchali (Novel) by Bibhutibhushan Bandyopadhyay book info:

Book পথের পাঁচালী
Author
Publisher
format pdf
Edition 1st Published, 2014
Number of Pages 190
ক্যাটাগরি:  চিরায়ত উপন্যাস
Language বাংলা

পথের পাঁচালী উপন্যাস রিভিউ

পথের পাঁচালী হলো প্রখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি বিখ্যাত উপন্যাস। বাংলার গ্রামে দুই ভাইবোন অপু আর দুর্গার বেড়ে ওঠা নিয়েই বিখ্যাত এই উপন্যাস।

পথের পাঁচালী চরিত্র বিশ্লেষণ

পথের পাঁচালী উপন্যাসের চরিত্র:  সমগ্র উপন্যাসটি তিনটি খণ্ড ও মোট পঁয়ত্রিশটি পরিচ্ছেদে বিভক্ত। খণ্ড তিনটি যথাক্রমে বল্লালী বালাই (এখানে ইন্দির ঠাকরূনের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে), আম-আঁটির ভেঁপু (এখানে অপু-দুর্গার একসাথে বেড়ে ওঠা, চঞ্চল শৈশব, দুর্গার মৃত্যু, অপুর সপরিবারে কাশীযাত্রার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে) এবং অক্রূর সংবাদ।এই খন্ডে অপুদের কাশীজীবন, হরিহরের মৃত্যু, সর্বজয়ার কাজের জন্য কাশীত্যাগ এবং পরিশেষে নিশ্চিন্দিপুরে ফিরে আসার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।বইটিতে পাঠের মাধ্যমে একজন পাঠক প্রাচীনকালের সমাজ ব্যবস্থা,পল্লী প্রকৃতি,সামাজিক ত্রুটি যেমন: বাল্যবিবাহ ও যৌতুক প্রথা,স্বামীহারা নারীদের জীবন সংগ্রাম,গ্রামের মানুষের সরলতা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবে।বইটি অামাদের অাবার শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।বইটি পড়ে আমি অনেক সচেতন হয়েছি এবং অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য আরেকটু অনুপ্রেরণা পেয়েছি ।খুবই চমৎকার ছিলো উপন্যাসটি। পরবর্তী কালে বিখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় এই উপন্যাসটি অবলম্বনে পথের পাঁচালী (চলচ্চিত্র) নির্মান করেন যা দর্শকদের কাছে ব্যাপক সাড়া পায়। তাই পাঠক দেরি না করে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা এই উপন্যাসটি এখনোই পড়ে ফেলুন।

পথের পাঁচালী গল্প: ছোট্ট মেয়ে দূর্গার বিস্তৃতিও খুব ছোট। সারাদিন দূর সম্পর্কের পিসীমা ইন্দির ঠাকরুনের সঙ্গে সঙ্গে থাকা, সন্ধাবেলায় পিসীমার জীর্ণ ঘরের রোয়াকে ছেড়া মাদুর পেতে জ্যোৎস্নায় ভিজে গল্প শোনা আর মায়ের হালকা শাষন এই নিয়েই তার দিন গুলো যায় বেশ। এমন সময় মায়ের কোল আলোয় ভাসিয়ে আসে তার ফুটফুটে একটা ছোট ভাই ‘অপু’। সুচনা হয় ভাইবোন নামের একটি মধুর সম্পর্কের। তারা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। অপুও আজকাল খুব দুরন্ত। দুর্গা আর অপু মিলে সদা চিরঞ্জীব গ্রাম্য প্রকৃতির প্রত্যেকটি বিষয়কে যেন আবিষ্কার করে নতুনভাবে। প্রত্যেকটি ছোট কিন্তু সদা সুন্দর প্রাকৃতিক পরশগুলোকে তারা অনুভব করতে থাকে আর আশ্চর্য হতে থাকে। হঠাৎ বিধাতার মূঢ়তায় দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত তাদের ছোট্ট পরিবারের একজন সদস্য কমে যায়। দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে বাঁচতে তাই আর দেরী না করে একটু আশার আলোর সন্ধানে তাকে গ্রামের ছায়ার পাহাড়ায় রেখেই পরিবারটি পাড়ি জমায় নতুনের পানে। রচিত হয় আরেকটি অধ্যায়ের যা পাঠকমনে নতুন আবেশ সৃষ্টি করতে বাধ্য করে।
পাঠ প্রতিক্রিয়া: উপন্যাসটিতে শহুরে উপাদান গুলোকে রীতিমত উপেক্ষা করে গ্রামীন পরিবেশ প্রাধান্য পেয়েছে। হরিহর কিংবা সর্বজয়ার মতো প্রধান চরিত্র গুলোকে অতিক্রম করে, দারিদ্র দূর্দশার চিত্রকে ছাপিয়ে ভাইবোনের অকৃত্রিম সম্পর্কই উপন্যাসটিতে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। তবে বাস্তব জীবনের কঠোর যুদ্ধও অত্যন্ত দারুনভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।

পথের পাঁচালী উপন্যাসের প্রকৃতি চেতনা: লেখক প্রকৃতিকে ভালোবাসেন, তাই ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপু আর দুর্গার দৃষ্টি দিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। এ উপন্যাসে দুর্গা আর অপুর প্রকৃতিপ্রেম আসলে লেখকেরই প্রকৃতিপ্রেম। উপন্যাসের সমস্তটাই প্রকৃতির সুখ আর সৌন্দর্যের বর্ণনা।

পথের পাঁচালী উপন্যাসের বিষয়বস্তু: বাংলার গ্রামে দুই ভাইবোন অপু আর দুর্গার বেড়ে ওঠা নিয়েই বিখ্যাত এই উপন্যাস। এই উপন্যাসের ছোটোদের জন্য সংস্করণটির নাম আম আঁটির ভেঁপু। পরবর্তীকালে বিখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় এই উপন্যাসটি অবলম্বনে পথের পাঁচালী (চলচ্চিত্র) নির্মাণ করেন যা পৃথিবী-বিখ্যাত হয়।

tyi
tyi

পথের পাঁচালী উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর পর্ব

পথের পাঁচালী উপন্যাসটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?

গল্পটি প্রবাসী পত্রিকায় ১৩২৮ বঙ্গাব্দের মাঘ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় । (b) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস “পথের পাঁচালী” উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত বিচিত্রা পত্রিকায় ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের আষাঢ় সংখ্যা থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় ।

পথের পাঁচালী শেষ লাইন কি?

 ‘আকাশে নীল আস্তরণ ভেদ করিয়া মাঝে মাঝে অনন্তের হাতছানি আসে পৃথিবীর বুক থেকে ছেলেমেয়েরা চঞ্চল হইয়া ছুটিয়া গিয়া অনন্ত নীলিমার মধ্যে ডুবিয়া নিজেদের হারাইয়া ফেলে পরিচিত ও গতানুগতিক পথের বহুদূর পারে কোন পথহীন পথে দুর্গার অশান্ত, চঞ্চল প্রাণের বেলায় জীবনের সেই সর্বাপেক্ষা বড় অজানার ডাক আসিয়া পৌঁছিয়াছে’

পথের পাঁচালী উপন্যাসের প্রকাশকাল?

১৯২৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রঞ্জন প্রকাশনালয় থেকে সজনীকান্ত দাস কর্তৃক পথের পাঁচালী গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়.

 কুঠির মাঠ দেখতে যাবার পথে কী দেখে? অপু সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছিল?

উত্তর-খরগোশ।

এই দ্যাখো মা আমার সেই মালাটা।’—বক্তা কে? কখন সে একথা বলেছিল?

উত্তর-বক্তা হলো টুনু।
যখন টুনুও সতু দুজনে মিলিায়া দূর্গার টিনের পুতুলের বাাক্সটা ঘর হইতে বাহির করিয়া আনিয়া রোয়াকে নামাইয়া এবং টুनू একজোড়া পুতির মালা বাহির করিয়া একথা বলিয়াছিল।

pather panchali bengali pdf download links

পথের পাঁচালী সারাংশ pdf-

পথের পাঁচালী বড় প্রশ্ন উত্তর pdf

পথের পাঁচালী online reading/Pdf free ডাউনলোড লিংক: Click here to download Pather Panchali by Bibhutibhushan Pdf

পথের পাঁচালী সংলাপ-

পথের পাঁচালী উক্তি-

“জীবন বড় মধুময় শুধু এইজন্য যে,এই মাধুর্যের অনেকটাই স্বপ্ন ও কল্পনা দিয়া গড়া।হোক না স্বপ্ন মিথ্যা, কল্পনা বাস্তবতার লেশশূন্য;”

~ পথের পাঁচালী ~ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়)

মেয়েটি করুণ চোখে বলিল, তা হোক পিতি, তুই খা —

দুটো পাকা বড় বীচে-কলার একটা হইতে আধখানা ভাঙ্গিয়া ইন্দির ঠাক্‌রুণ তাহার হাতে দিল। এবার খুকীর চোখ-মুখ উজ্জ্বল দেখাইল—সে পিসিমার হাত হইতে উপহার লইয়া মনোযোগের সহিত ধীরে ধীরে চুষিতে লাগিল।

ও ঘর হইতে তাহার মা ডাকিল, আবার ওখানে গিয়া ধন্না দিয়ে বসে আছে? উঠে আয় ইদিকে!

ইন্দির ঠাক্‌রুণ বলিল, থাক বৌ — আমার কাছে বসে আছে, ও কিছু করচে না। থাক্ বসে—

তবুও তাহার মা শাসনের সুরে বলিল, না। কেনই বা খাবার সময় ওরকম বসে থাকবে? ওসব আমি পছন্দ করি নে; চলে আয় বল্‌চি উঠে—

খুকী ভয়ে ভয়ে উঠিয়া গেল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *