বিদেশ থেকে গোপন নাম্বারে টাকা পাঠানোর নিয়ম
প্রবাসী ভাইদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে প্রেরণের সহজ এবং দ্রুত মাধ্যম হচ্ছে গোপন নাম্বার বা পিন নাম্বার।বিদেশ থেকে দেশে গোপন নাম্বারের মাধ্যমে টাকা পাঠালে অর্থ গ্রহীতা দ্রুত টাকা হাতে পায়।অন্যান্য মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানোর চেয়ে গোপন নাম্বার এর মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানো একটি সহজ পদ্ধতি।চলুন জেনে নেয়া যাক বিদেশ থেকে গোপন নাম্বার এর মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নিয়ম সমূহ এবং ব্যাংক থেকে গোপন নাম্বার এর মাধ্যমে টাকা উঠানোর নিয়ম সমূহ।
বিদেশ থেকে গোপন নাম্বার এর মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নিয়ম :
আপনি যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি ওই দেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে অথবা সেলারি একাউন্ট থেকে থাকে তবে আপনি আপনি খুব সহজেই অ্যাপ ব্যবহার করে সরাসরি দেশে গোপন নাম্বারের মাধ্যমে টাকা প্রেরণ করতে পারেন।
এছাড়া আপনি চাইলে আপনার নিকটবর্তী এক্সচেঞ্জ হাউজ অথবা ব্যাংকের শাখা থেকে বাংলাদেশের গোপন নম্বরের মাধ্যমে টাকা প্রেরণ করতে পারেন।গোপন নাম্বারে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে তারা আপনার ওয়ার্ক পারমিট/আকামা এর কপি চাইবে।আপনি যার নামে দেশে গোপন নাম্বারে টাকা পাঠাবেন অবশ্যই তার একটি ভোটার আইডি কার্ডের কপি অথবা পাসপোর্ট এর কপি আপনার সাথে রাখবে।এতে করে ভুল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকেনা।আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ফরম ফিলাপ করতে বলা হবে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারাই এই ফরমটি ফিলাপ করে দিবে।অনেকগুলো এক্সচেঞ্জ হাউসে বাঙালি প্রতিনিধি থাকে।তারা আপনাকে সাহায্য করবে।টাকা পাঠানোর পূর্বে অবশ্যই চার্জ সম্পর্কে জেনে নিবেন।বিদেশ থেকে গোপন নাম্বারে পাঠানো টাকা কোন কোন ব্যাংক থেকে উঠাতে পারবে তাও জেনে নিবেন।এক্ষেত্রে চার্জ বেশি আসলেও যেকোন ব্যাংক সিলেক্ট করাই ভালো।তাহলে গ্রহীতা হাতের নাগালে থাকা যেকোন ব্যাংকের শাখা থেকেই গোপন নাম্বারে পাঠানো টাকা উঠাতে পারবে।
ব্যাংক থেকে গোপন নাম্বার এর টাকা উঠানোর নিয়ম:
বিদেশ থেকে গোপন নাম্বারে পাঠানো টাকা খুব সহজেই দেশের ব্যাংক সমুহ থেকে উঠানো যায়।
যার নামে বা আইডি তে গোপন নাম্বারে টাকা পাঠানো হয়েছে তাকে স্বশরীরে ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট এবং প্রেরনকারী প্রদত্ত গোপন নাম্বার নির্দিষ্ট ফরমে(ছবির মতো) পুরণ করে কাউন্টারে দিতে হবে।ফরম পুরণে অসুবিধা হলে তারাই পুরন করে দিবে।তারা গোপন নাম্বারের টাকা সরকার প্রদত্ত ২% প্রণোদনা এবং রশিদ সহ আপনাকে প্রদান করবে।