সাদাত হোসাইন Books PDF Download (সকল বই)
তোমার নামে সন্ধ্যা নামে Pdf Download (full)
tomar name sondha name sadat hossen bok info:
বইয়ের নামঃ তোমার নামে সন্ধ্যা নামে
লেখকঃ সাদাত হোসাইন
রিভিউকারীঃ ইসপেল চাকমা
প্রকাশনাঃ অন্যপ্রকাশ
প্রকাশকালঃএকুশে বইমেলা ২০২১
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২২৪টি
কভার মূল্যঃ ৫০০ টাকা
লেখকঃ সাদাত হোসাইন
রিভিউকারীঃ ইসপেল চাকমা
প্রকাশনাঃ অন্যপ্রকাশ
প্রকাশকালঃএকুশে বইমেলা ২০২১
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২২৪টি
কভার মূল্যঃ ৫০০ টাকা
“তোমার নামে সন্ধ্যা নামা শহর জানেরোজ কতটা আঁধার জমাই অভিমানেরোজ কতটা কান্না জমাই বুকের কোণেতোমার নামে রাত্রি গভীর শহর জানে!”
রিভিউ
একটা মধ্যবিত্ত পরিবারকে ঘিরেই গল্পটা এগিয়েছে। জীবনে টানা পোড়া, সুখ-দুঃখ, হাসি কান্না এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের কঠিন বাস্তবতা ঘিরেই সম্পূর্ণ গল্পটা। গল্পটা পড়া শুরু করলে চরিত্রগুলো অদ্ভুত ভাবে আকৃষ্ট করে রাখবে। কখনো নদীর হয়ে, কখনো নিতু, কখনো অন্তু, আবার কখনো সজল। সেই সাথে একটা রহস্যের মধ্যে আটকে রাখবে ফজলু মিয়া!
ভালোবাসা কী অদ্ভুত। কী বিচিত্র। কিন্তু ভালোবাসা সবসময় হেরে যায় অভিমান, অভিযোগ, কিংবা কিছু ভুলের কারণে। কিন্তু ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক কি আবার জোড়া লাগে? আবার সবকিছু ঠিক হয়? হয়না! কিন্তু আমরা চাইলে কিংবা চেষ্টা করলেই অভিমান, অভিযোগ, রাগ, ক্ষোভ এসব ভুলে আবার ডুবে যেতে পারি ভালোবাসায়। কিন্তু সেটা কখনো করা হয়ে উঠে
না। এখানে অভিমান ক্রমশ শুষে নিতে থাকে আমাদের।
নদীর প্রতি সজলের এতো গভীর ভালোবাসা, এতো মায়া, এতোটা নদীর মধ্যে ঢুবে থাক, সজলের সেই কারুকাজে নদীর জন্য লেখা —
“আমায় দিয়ো একটুখানি ছুঁয়ে,আমার দিয়ো একটুখানি মন,এই জনমের জন্ম মৃত্যু জানে,তুমি মানেই আমার সমর্পণ ! “
এসবকিছুই কি মিথ্যা ছিলো? না মিথ্যা ছিলো না। সেকথা তারা দু’জনেই জানে। তবে কি এমন হয়েছিলো তাদের মধ্যে যে তারা আলাদা হয়ে যেতে বাধ্য হয়?একে অন্যকে প্রচন্ড ঘৃণা করতে শুরু করে। কেউ কাউকে কখনো আর দেখতেই চায় না।
নিতুর প্রতি অন্তুর এতো ভালোবাসা। নিতুর জন্য তার একটা জনম লিখে দেওয়া। তার মুখে একটু হাসি দেখার জন্য দিনের পর দিন কতকিছু করে যাওয়া। নিতুর সকল দুঃখকে মুঁছে ফেলার কত চেষ্টা। কিন্তু বুক থেকে কোনো দাগ কি চিরতরে মুঁছে ফেলা যায়? অন্তুর কারণেই নীতুর জীবনে ঘটে যাওয়া সত্যকে কী করে মুঁছে দেবে অন্তু৷ এটা মুঁছে দেওয়া যে সম্ভব না।
ফলজু মিয়া একটা ভয়ংকর মানুষ। মানুষ খুন করা তার জন্য দুনিয়ায় সবচেয়েসহজ কাজ। কিন্তু সব মানুষ কি আসলেই মানুষ? সমাজে মানুষ রুপে হাজারো পশু ঘুরে বেড়াচ্ছে। সময় সুযোগ পেলেই ঝাপিয়ে পড়বে অসহায় মানুষের উপর। ছিড়েখুঁড়ে খাবে তাদের। ফজলু মিয়া যতটা ভয়ংকর আসলেই কি সে ততটা জঘন্য মানুষ?
বইটি পড়তে সাহায্য করেছেন ডা. দেবশ্রী চক্রবর্তী, বিশেষ কৃতজ্ঞতা উনার প্রতি।
বইটি যাদের জন্য উপযুক্তঃ
১.যারা নতুন বই পড়া শুরু করে দিয়েছে।
২.যারা টিন বয়সের মধ্যে পড়ে কিংবা কিশোর কিশোরী তাদের জন্য।তবে যারা টিন বয়সের উর্ধ্বে কিন্তু সামাজিকতা জ্ঞানের অভাব তাদের জন্য উপযুক্ত।
৩. যারা অনেক সহজ সাবলীল ভাষার বই পড়তে চাই তাদের জন্য উপযুক্ত কারণ বইটির ভাষা অনেক সহজ সাবলীল ভাষায় লেখা তাই খুব সহজেই যেভাবে পড়া হোক না কেন বইয়ের লেখাগুলো আয়ত্ত্ব করা যাবে।
৪.আর যারা নিজের ভালোবাসার মানুষকে কবিতা দিয়ে অনুপ্রানিত করতে চাই তারা এই বইয়ের কবিতার মাধ্যমে খুব সহজেই করতে পারবে।
২.যারা টিন বয়সের মধ্যে পড়ে কিংবা কিশোর কিশোরী তাদের জন্য।তবে যারা টিন বয়সের উর্ধ্বে কিন্তু সামাজিকতা জ্ঞানের অভাব তাদের জন্য উপযুক্ত।
৩. যারা অনেক সহজ সাবলীল ভাষার বই পড়তে চাই তাদের জন্য উপযুক্ত কারণ বইটির ভাষা অনেক সহজ সাবলীল ভাষায় লেখা তাই খুব সহজেই যেভাবে পড়া হোক না কেন বইয়ের লেখাগুলো আয়ত্ত্ব করা যাবে।
৪.আর যারা নিজের ভালোবাসার মানুষকে কবিতা দিয়ে অনুপ্রানিত করতে চাই তারা এই বইয়ের কবিতার মাধ্যমে খুব সহজেই করতে পারবে।
বইঃ তোমার নামে সন্ধ্যা নামে (tomar-name-sondha-name) – সাদাত হোসাইন pdf
পাঠ্যানুভূতিঃ
উপন্যাসে মূলত সমাজের সাধারণ মানুষ থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠার কাহিনি। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে নদী কীভাবে বাবার অসুস্থতার জন্য তার সবটুকু দিয়ে তার পরিবারকে আগলে রাখা যায় সেই দিকটি ফুটে উঠেছে। তার পরিবারকে আগলে রাখতে গিয়ে তাকে অনেক বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় তবু ও সেই থেমে নেই। আমাদের সমাজে খুঁজে দেখলে এমন হাজারো নদীর মতো মেয়ে পাওয়া যাবে যারা জীবিকার তাগিদে পরিবারের জন্য দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছে তাদের পরিশ্রম আত্মনিয়োগের মধ্যে দিয়ে। আর উপন্যাসে নদী ছিল একজন চলচিত্রের নায়িকা,একজন অভিনেত্রী কে চলচিত্রে যেমন হাসি-খুশি দিয়ে অভিনয় চালিয়ে নিয়ে যেতে হয় সবার সামনে কিন্তু তাঁরা ব্যক্তিগত জীবনে সমাজ জীবনে কতটা সুখী খুব সহজেই বুঝা যায় নদীর চরিত্রের মাধ্যমে।
উপন্যাসের নীতু! যেই কিনা মাত্রই পুটন্ত ফুল সবে মাত্র কলেজ পড়ুয়া।যেই সময়ে তার পারিবারিক, সামাজিক জীবনে দেশের জন্য ভালো কাজেই চিন্তায় মগ্ন হওয়া কথা কিন্তু সেই সময়ে আবেগের বশবর্তী হয়ে তার সহপাঠী অন্তুর মাধ্যমে পেগন্যান্ট হয়ে যায়।যার ফলে তাকেই সহ্য করতে হয় অন্তুহীন দুঃখগুলো বুকে পুষে রেখে। কিন্তু সেই তবুও থেমে নেই দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে ভয়ংকর বাস্তবতা মেনে নিয়েও সমাজের সামনে নিজেকে প্রতিষ্টিত করতে হয়।এই চরিত্রের মাধ্যমে শিক্ষা নিতে পারি আমরা যারা টিনএজ তারা আবেগের বশবর্তী হয়ে যেন খারাপ কাজে জড়িয়ে না যায়।